শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫

Beta Version

Eng

শিরোনাম

বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ বিপ্লবী সরকার গঠন করে ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব মাহমুদুর রহমানের ৩২,৬৬৬ পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লাখের বেশি আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন ইসরাইলে ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের: প্রতিশোধের হুমকি ইসরাইলের ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জয়, পুতুল ও ববির ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ জুলাই-আগস্টের ক্যাম্পাস সহিংসতা তদন্তে ঢাবির কমিটি গঠন চ্যারিটি কমিশনে প্রাপ্ত অভিযোগের সংখ্যা ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি বিমান ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারাও পেলেন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বিদেশি ঋণ প্রতিশ্রুতিতে ৯৮% হ্রাস; প্রথম দুই মাসে ধস

বাংলাদেশ

বিপ্লবী সরকার গঠন করে ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব মাহমুদুর রহমানের

ঢাকা ব্যুরো

Published: 19:14, 7 October 2024

বিপ্লবী সরকার গঠন করে ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব মাহমুদুর রহমানের

বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান বাতিল করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়ে বিপ্লবী সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন আমাদের দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। সোমবার রাজধানীর পলাশীতে আবরার ফাহাদকে স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।

আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ‘আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ’ পুনর্নির্মাণের জন্য এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম এই স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে সিটি করপোরেশন ভেঙে দেয়। দীর্ঘ চার বছর পর এটি পুনর্নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করা হয়।

মাহমুদুর রহমান বলেন, "আবরার ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার প্রতীক। তিতুমীরের মতো আমরা আবরারকেও বীর হিসেবে স্মরণ করতে চাই। অন্যদিকে শেখ মুজিব তার মেয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আইকন। তাই আমি আমার ৭ দফা দাবিতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর নাম পরিবর্তন করে আবরার অ্যাভিনিউ করার প্রস্তাব দিয়েছি।"

তিনি আরও বলেন, "আমি অন্তর্বর্তী সরকার করার বিরোধিতা করেছিলাম। আপনারা বিপ্লবী সরকার গঠন করুন। শেখ হাসিনার সংবিধান বাতিল করে নতুন নির্বাচিত সরকার আসবে, যারা বিপ্লবের মূলনীতি অনুযায়ী নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।"

আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, "আবরার ফাহাদ কেবল একজন ব্যক্তি নন, তিনি লাখো মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক। বুয়েটের ঘটনার মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় চলমান নির্যাতনের প্রতিফলন দেখা গেছে। এই মামলার বিচার কার্যক্রম এখনও শেষ হয়নি, পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের মানুষ কোনো আগ্রাসন মেনে নেবে না। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই, তবে দিল্লির আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।"

আবার, আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, "ভবিষ্যতে আর কোনো ছাত্র যেন নির্যাতনের শিকার না হয়, সে জন্য প্রশাসনের সতর্ক থাকা উচিত। শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের কারণে যেন আর কাউকে প্রাণ দিতে না হয়।"

তিনি দ্রুত হাইকোর্টে বিচার কার্যক্রম শুরু করে আসামিদের সাজা বহাল রাখার দাবি জানান।

আবরারের ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, "আবরার ফাহাদ শুধু ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিলেন না, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। ক্যাম্পাসে যেন আর ভীতিকর পরিস্থিতি না ফিরে আসে।"

তিনি আরও বলেন, "গত ১৫ বছরে আমাদের মধ্যে 'ট্যাগিং' মানসিকতা প্রবেশ করানো হয়েছে। কোনো ঘটনা ঘটলেই প্রথমে প্রমাণ করতে হতো যে সে শিবিরের সঙ্গে যুক্ত নয়। এই মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে।"

এছাড়াও, তিনি আবরার হত্যার সাথে জড়িতদের কাউকে ছাড় না দেওয়ার আহ্বান জানান।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "আগামী ১০০ বছর জেল খাটলেও আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিচার শেষ হবে না। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতের পর ছাত্র-নাগরিক সমাজ সিদ্ধান্ত নেবে, তাদের পুনর্বাসন করা হবে কি না।"

এছাড়াও, তিনি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করে সংবিধান বাতিলের দাবি জানান।


 

Advertisement

সর্বশেষ

সর্বাধিক