ইলিশ রপ্তানি বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের টানাপড়েন কমাতে পারে

খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন একজন শিল্প অর্থনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ৩০ বছরে তার ৮০টির বেশি বই ও গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তসহ সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় নিউজ বিটের সঙ্গে । সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিউজ বিটের বাংলাদেশ করেসপন্ডেন্ট রিয়াজ উদ্দীন।
নিউজ বিট: ভারতের ইলিশ রপ্তানি নিয়ে সম্প্রতি সরকারের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ দেশটিতে রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিষয়টিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: রপ্তানি আয় কেমন হবে তেমন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে হবে না। দুর্গাপূজায় ইলিশ খাওয়া ঐতিহ্য। দাম বা উৎপাদন বিষয় নয়, সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বাংলাদেশের উচিত ভারতের ইলিশ রপ্তানি করা। কাজেই সিদ্ধান্তটি সঠিক।
নিউজ বিট: তিন হাজার মেট্রিক টন রপ্তানি হবে। রপ্তানির পরিমাণ নিয়ে কি বলবেন?
খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: দেশের উৎপাদন ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে রপ্তানির পরিমাণ বিবেচনা করা উচিত। যে কোনো অবস্থায়ই এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
নিউজ বিট: যদিও আপনি অর্থনীতির মানুষ। তারপরও অন্য দেশের ঐতিহ্যকে বাংলাদেশের সম্মান করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। তাই আপনার কাছে জানতে চাই, ঢাকা-দিল্লি বিদ্যমান টানাপড়েনে কি এই ইলিশ কূটনীতি কাজ করবে?
খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত তাদের কিছুটা ভালো মনোভাব তৈরি হতে পারে বলে মনে করি। সম্পর্ক উন্নয়নে একে অপরের মধ্যে বিনিময়ের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
নিউজ বিট: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: আপনাকেও ধন্যবাদ।
 (5).png)